সালেহ্ বিপ্লব: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বুধবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। 

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে ৭৫ কংগ্রেস সদস্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। এতে বিশেষ করে মুসলমান ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মোদির খারাপ আচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ ব্যাপারে কখনো নিন্দা জানায়নি কেনো? 

প্যাটেল বলেন, আমরা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে আসছি। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও এ নিয়ে আমরা কথা বলি। তারা ধর্মীয় স্বাধীনতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার-সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়ে আমাদের উচ্চপর্যায়ে কথা বলে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক অংশীদার হিসেবে একটি সুরক্ষিত, সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও বহুত্ববাদী ভারতের কথা তারা ভাবনায় রাখেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে ভারতীয় অংশীদারদের দৃষ্টিভঙ্গিও তেমন হবে। 

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। এই সফরের আগে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের বৈঠক হয়। বৈঠকে অজিত বলেছিলেন, প্রতিবেশীদের ব্যাপারে অন্য দেশের এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া উচিত হবে না, যা ভারতের জাতীয় স্বার্থে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করে, এমন কিছু করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয়। তিনি উদাহরণস্বরূপ বলেন, বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার শাসনামলে ১০ ট্রাক অস্ত্র ভারতের আসামের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন উলফার কাছে পাচারের কথা ছিল। এটি ছিল নিরাপত্তার প্রধান বিষয়। এ ব্যাপারে প্যাটেলের মন্তব্য জানতে চান এই সাংবাদিক। 

প্যাটেল বলেন, প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও এলাকায় কাজ করতে বা যুক্ত হতে দ্বিধা করবে না। বিষয়টি যেহেতু অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কিত, এখানে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ভারত। উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা বজায় রাখতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে। দুই দেশই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ একটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আরও গভীরভাবে কাজ করতে চায়।

মোদির সফরের গুরুত্ব সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এটি তার রাষ্ট্রীয় সফর। তাই আগের দ্বিপক্ষীয় সফরগুলোর চেয়ে এবারের সফর একটু ভিন্ন। আমরা আশা করি, মোদির এই সফর ভারতের সঙ্গে  যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও গভীর, সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করবে।  সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া